মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আবারও মর্টারশেল ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে বাংলাদেশ প্রান্তে। রবিবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টা থেকে থেমে থেমে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের নাফ নদ সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
এতে আতঙ্কে আছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন। এর আগে, এসব সীমান্ত এলাকার লোকজন সর্বশেষ ১৮ মার্চ গোলাগুলির শব্দ শুনেছিলেন।
সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর কবির বলেন, এখন রাত ১টা, এরপরও গোলার শব্দ শোনা সীমান্তে। এমনকি আমার বাড়িতে পর্যন্ত ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রাত ১০টা থেকে এভাবে থেমে থেমে বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে।
সীমান্তের লোকজন জানিয়েছেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার রাতে মিয়ানমারে আবারও দুই বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এতে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়া বাজার, মিনা বাজার, কানজর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তের বিকট শব্দ ভেসে আছে। সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তের বসবাসকারী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর রাত থেকে নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। মনে হচ্ছে মাটি খুঁড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, অন্যদিনের তুলনার আজকের গোলার শব্দ বিকট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডু ও বুথেডংয়ে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদ বেষ্টিত ৫৪ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে।
এর আগে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত।
পাঠকের মতামত